শতবর্ষ ধরে মুরারিচাঁদ কলেজ সিলেট অঞ্চলে জ্ঞানের আলো বিতরণ করে যাচ্ছে। অসংখ্য জ্ঞানী-গুণী মানুষের জন্ম হয়েছে এই কলেজ থেকে। ঐতিহ্যের সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণের লীলাভূমি হলো মুরারিচাঁদ কলেজ।
১৮৯২ সালে রাজা গিরিশ চন্দ্র সেন সিলেট শহরে কলেজটি স্থাপন করেন। পরবর্তীতে আসাম সরকারের শিক্ষামন্ত্রী সিলেটের কৃতি সন্তান খান বাহাদুর সৈয়দ আব্দুল মজিদের (কাপ্তান মিয়া) একান্ত প্রচেষ্টায় সিলেট শহরের নিকটবর্তী টিলাগড় এলাকায় থ্যাকারের টিলায় ১৪৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় এবং ১৯২৫ সালের ২৭ জুলাই বর্তমান ক্যাম্পাসটিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে কলেজটিতে ১৫ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স এবং ১৬ টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু আছে। পাশাপাশি চালু রয়েছে স্নাতক (পাস) কোর্স এবং উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি (বিজ্ঞান শাখা) ।
শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে সৃজনশীল চিন্তা চেতনার ও কল্পনা শক্তির বাস্তব প্রয়োগের দ্বারা আধুনিক শিক্ষা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন সম্ভব। আজকের প্রজন্ম রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। এসকল ভবিষ্যৎ কর্ণধার বিনির্মাণে মুরারিচাঁদ কলেজ বদ্ধ পরিকর। প্রতিবছরই এই কলেজ হতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, মেডিকেল কলেজ এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। এ কলেজ থেকে স্নাতক ও মাস্টার্স কোর্স করে শিক্ষার্থীরা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শুধু দেশের ভিতরে নয়, প্রবাসেও মুরারিচাঁদ কলেজের শিক্ষার্থীরা দেশের ভাবমূর্তি অনবরত বৃদ্ধি করে যাচ্ছে।
মুরারিচাঁদ কলেজের বর্তমান অবস্থানের পিছনে এই কলেজের সকল বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মচারী-অভিভাবকবৃন্দ এবং সর্বোপরি সিলেটের সকল স্তরের জনগনের ভূমিকা রয়েছে। প্রত্যাশা রাখি মুরারিচাঁদ কলেজ সকলের সহযোগিতা নিয়ে ভবিষ্যতেও তাঁর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে।
উপাধ্যক্ষ
প্রফেসর মোঃ আকমল হোসেন
মুরারিচাঁদ কলেজ,সিলেট