দর্শন বিভাগের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
ঐতিহাসিক ক্রমবিকাশ:
১.অনার্স কোর্স প্রবর্তন : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯২২ সালে অনার্স কোর্স আরম্ভ হয়। ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত থাকা অবস্থায় অনার্স কোর্সটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৭০-৭১ শিক্ষাবর্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আবার কোর্স শুরু হয় এবং পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। সর্বশেষ ১৯৮১-৮২ শিক্ষাবর্ষ থেকে অনার্স কোর্স আরম্ভ হয়েছে এবং অদ্যাবধি চালু রয়েছে।
২.মাস্টার্স কোর্স প্রবর্তন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে মাস্টার্স ১ম পর্ব এবং ১৯৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে মাস্টার্স শেষ পর্ব কোর্স চালু হয় এবং অদ্যাবধি চলছে।
৩.আসন সংখ্যা : ১ম বর্ষ অনার্সে ১৭০টি আসন। এম.এ ১ম পর্বে আসন সংখ্যা ৮০টি।
৪.ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা : বর্তমানে প্রায় আটশত(৮০০) জন ছাত্র-ছাত্রী এ বিভাগে অধ্যয়নরত।
৫.শিক্ষকের পদ সংখ্যা : ৭টি। প্রফেসর-১,সহযোগী অধ্যাপক-১ সহকারি অধ্যাপক-২, প্রভাষক-৩।
৬. কর্মচারী সংখ্যা : একজন অফিস সহকারী ও একজন অফিস বেয়ায়ার রয়েছে।
৭.সেমিনার লাইব্রেরী : লাইব্রেরীটি বেশ সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে। বহু মূল্যবান দু®প্রাপ্য পুস্তুক ও পত্র-পত্রিকা। বর্তমানে পুস্তকের সংখ্যা প্রায় পাঁচহাজার।
৮.শিক্ষক মন্ডলী : শতবর্ষের পরম্পরায় গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী এ বিভাগের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে অনেক গুনী মানুষের নাম। বর্তমানে ৬জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।
৯. ভৌগিলিক অবস্থান ও অবকাঠামো : নৈস্বর্গিক পরিবেশে তামাবিল রোড সংলগ্ন এম.সাইফুর রহমান ভবনের প্রায় এক চতুর্থাংশ জুড়ে এ বিভাগের কার্যক্রম চলছে। সুসজ্জিত সেমিনার কক্ষ। সেমিনারের সামনে রয়েছে পু®পরাজিতে ভরা সুদৃশ্য ও মনোমুগ্ধকর একটি বাগান।
১০.ফলাফল ও কৃতিত্ব : বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহে প্রতি বছরেই ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। এম.এ শেষ পর্ব পরীক্ষা ২০০৮ ও ২০০৯ এ ১ম শ্রেণী প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা যথাক্রমে ৬জন ও ১৩জন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল যাচাইয়ে অনুমিত হয় যে, ২০০৮ এ ১ম শ্রেণীতে ১ম ও ২য় স্থান এবং ২০০৯ এ ১ম শ্রেণীতে ১ম-৪র্থ স্থান অধিকারী অত্র কলেজ থেকেই।
১১.পাঠ্যক্রম বহি:র্ভূত কার্যক্রম : সেমিনার,নবীনবরণ, বিদায়-সম্বর্ধনা, শিক্ষা সফর,বৃক্ষ রোপণ, আন্ত:শ্রেণী বির্তক, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড।
সর্বোপরি,দর্শন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্যে সমৃদ্ধ হচ্ছে এম.সি.কলেজ। এ বিভাগে অধ্যয়ন করে হাজার শিক্ষার্থী আলোকিত মানুষ হিসেবে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে আজ দেশ গড়ার ও সমাজ বিনির্মানের কাজে নিয়োজিত। এ অঞ্চলের উচ্চ শিক্ষার প্রসারে এ বিভাগের নিরন্তর প্রয়াস এম.সি.কলেজের ইতিহাসে চির ভাস্মর হয়ে থাকবে।